ভয়ঙ্কর মোসাদ যেভাবে কিলিং মিশন চালায়!

ভয়ঙ্কর মোসাদ যেভাবে কিলিং মিশন চালায়! মোসাদ। ইসরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ১৯৪৯ সালে গঠিত এ সংস্থাটির সদর দপ্তর তেলাবিবে। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ন মোসাদের প্রতিষ্ঠাতা। ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় বিশ্ব জুড়ে নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিশ্বের এ দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাটি। সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে ফিলিস্তিনি জ্বালানি বিজ্ঞানী ফাদি আল বাতশ নিহত হওয়ার ঘটনায় আবারো আলোচনায় মোসাদ। গত শনিবার মসজিদে ফজরের নামাজে যাওয়ার পথে ৩৫ বছর বয়সী ফাদিকে হত্যা করে দুই মোটরসাইকেল আরোহী। ফাদির পরিবার মনে করে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে মোসাদ। বলা হচ্ছে, এটি মোসাদের একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। গাজা থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর মালয়েশিয়ায় পিএইচডি করছিলেন ফাদি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে জ্বালানি বিষয়ে তার একাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথেও যুক্ত ছিলেন এই বিজ্ঞানী। ইসরাইলি অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোনেন বার্গম্যানের মতে ফাদির হত্যাকাণ্ড মোসাদের হত্যাকাণ্ডের ধরনের সাথে মিল রয়েছে। মোসাদের এমন হত্যাকাণ্ড নতুন নয়। সাধারণত কোনো ব্যক্তিকে ইসরাইল রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করলে তাকে হত্যা করে মোসাদ। এজন্য তাদের কৌশল ও দক্ষতা অত্যন্ত দুর্ধর্ষ। রয়েছে পেশাদার খুনিদের একটি দুর্ধর্ষ বাহিনী। ১. টার্গেট নির্ধারণ হত্যাকাণ্ডের জন্য টার্গেট নির্ধারণে ইসরাইলি গোয়েন্দারা মোসাদের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়। কখনো কখনো দেশটির অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতারাও যুক্ত থাকে এর সাথে। কখনো টার্গেট চিহ্নিত করে ইসরাইলের অন্য অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা সামরিক বাহিনী। যেমন বিজ্ঞানী ফাদিকে শত্রু হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি হামাসের ওপর নজরদারি করে ইসরাইলের এমন গোয়েন্দা সংস্থা বা সামরিক বাহিনী করতে পারে। আবার দেশের বাইরে কাজ করা ইসরাইলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কও তার বিষয়ে কাজ করতে পারে। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গাজা, ইস্তাম্বুল ও বৈরুতের মধ্যে হামাসের যে যোগাযোগ চ্যানেল তার ওপর কঠোর নজরদারি করে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এই চ্যানেলের মাধ্যমেই ইসরাইল বিজ্ঞানী ফাদিকে টার্গেট হিসেবে শনাক্ত করেছিল বলে মনে করা হয়। ফাদির বন্ধুরা জানিয়েছেন, হামাসের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি গোপন করতেন না। ২. যেভাবে ঘটে হত্যাকাণ্ড কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করার পর মোসাদ তাকে হত্যা করা হবে কি না সে ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে। ওই ব্যক্তির বেঁচে থাকা ইসরাইলের জন্য সমস্যা হবে সেটি মনে করলে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর মোসাদের বিশেষজ্ঞ দল ওই ব্যক্তির ফাইলটি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিভাবক সংস্থা ‘ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস কমিটি’র প্রধানের কাছে পাঠানো হয়। হিব্রু ভাষায় ভারাশ নামে পরিচিত এই সংস্থাটি। এ বিষয়ে আলোচনা করে নিজেদের মতামত ও পরামর্শ দেয় ভারাশ। তবে এই অপারেশন অনুমোদনের ক্ষমতা নেই তাদের। এই ক্ষমতা রয়েছে শুধু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ দুই-একজনের সাথে পরামর্শ করেন। অনুমোদনের পর বিষয়টি আবার মোসাদের কাছে যায় পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির জন্য। কখনো কখনো এতে এক সপ্তাহ থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগে। বিষয়টি নির্ভর করে টার্গেটের অবস্থান ও তার নিরাপত্তার ওপর। ৩. দুর্ধর্ষ কায়সারিয়া ইউনিট মোসাদের অত্যন্ত গোপন একটি বাহিনী কায়সারিয়া ইউনিট। আরব বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশে গুপ্তচর মোতায়েন করা তাদের কাজ। ১৯৭০-এর দশকে এই ইউনিটটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাইক হারারি। আরব বিশ্বসহ মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ টার্গেটের ওপর নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করে কায়সারিয়া। এই ইউনিটের মধ্যে আবার রয়েছে কিডন নামে একটি বাহিনী। যেকোনো ধরনের হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞে পারদর্শী পেশাদার খুনিদের একটি দল কিডন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও স্পেশাল ফোর্সের সদস্যদের মধ্য থেকে সাধারণত এই লোকদের নেয়া হয়। ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানী ফাদির হত্যাকারীরা সম্ভাব্য কিডন সদস্য বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। কায়সারিয়া ইউনিটের কাজ অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর স্পেশাল এক্টিভিটিস সেন্টারের (এসএসি) মতো। এসএসির মধ্যে আবার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) নামে একটি ইউনিট রয়েছে যারা হত্যাকাণ্ড চালায়। সিআইএর এসওজি আর মোসাদের কিডন একই ধরনের ইউনিট। রোনেন বার্গম্যান লিখেছেন, দ্বিতীয় ইন্তিফাদার আগ পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৫০০ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে যাতে নিহত হয়েছে অন্তত এক হাজার টার্গেট ও অন্যরা। আর দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় তারা এক হাজারের বেশি অপারেশন চালিয়েছে যার মধ্যে ১৬৮টি সফল হয়েছে। সব মিলে সেই থেকে হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে সংস্থাটি ৮০০টির বেশি হামলা চালিয়েছে। তবে মোসাদের টার্গেট যে শুধু ফিলিস্তিনিরা তা নয়, সিরিয়া, লেবানন, ইরান এমনকি ইউরোপের কোনো নাগরিককেও হত্যা করতে পারে সংস্থাটি। মোট কথা ইসরাইল বা ইহুদিবাদীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে রয়েছে এমন যে কাউকে হত্যা করতে পারে সংস্থাটি। How terrible Mossad runs the Killing mission! Mossad Israel's National Intelligence Agency In 1949, the headquarters of the organization, formed in 1949. The founder of the country's first Prime Minister David Ben Gurion Mossad. The world's most dangerous intelligence agency operates various activities across the world to protect Israel's interests. Recently in connection with the killing of Palestinian fuel scientist Fadi al-Rasht in Kuala Lumpur, Mossad discussed again. On Saturday, a motorcycle rider killed 35-year-old Fadi on his way to Fajr prayers in the mosque on Saturday. Fadir's family thinks Mossad is behind the murder. It is said, this is a planned killings of Mossad. After completing his studies in Gaza from Electrical Engineering, Fadi was doing Ph.D in Malaysia. Several international journals have been published in several international journals.  Along with this, the scientist was also associated with the Palestinian resistance movement Hamas. According to an Israeli investigative journalist Bergman, the assassination of Fadir is similar to that of the killing of Mossad. Moussa's assassination is not new. Mossad was killed by a person generally considered to be an enemy of the Israeli state. That's why their technique and skills are very dangerous. There is a strong army of professional killers. 1. Setting the Target Determining the target for the killings, Israeli intelligence has decided through MOSCAD's internal agencies and agencies. Sometimes other intelligence agencies and political leaders of the country are also involved. Sometimes the target is identified by other Israeli intelligence agencies or military forces. Israeli intelligence agencies or military forces such as the scientist may be obscured about Hamas to be listed as an enemy. Israeli intelligence networks working outside the country can also work on it.  Various sources said that Israeli intelligence agencies have closely monitored the communications channels of Hamas between Gaza, Istanbul and Beirut. Through this channel, it is believed that the Israeli scientist identified Fadi as the target. Fadir friends said he did not hide the fact that he was involved with Hamas. 2. The way the murders happen After identifying a person as a target, Mossad will verify whether he will be killed or not. If he thinks that the survivor will have problems for Israel, then he decides to murder. Then Mossad's expert team sent the person's file to the head of the Intelligence Service Committee, the parent company's intelligence agency. This company, known in Hebrew as Vaarash Talking about this, Varaash gave his opinion and suggestions. But they do not have the power to authorize this operation. This power has only Israel's Prime Minister. If needed, the Prime Minister would consult with each other, including the Defense Minister. After approval, the matter goes to Mossad again for planning and preparation. Sometimes it takes from a week to a few years. It depends on the location of the target and its security. 3. Critical Keizersia unit A very secret cordial unit of Mossad. Their work is to deploy spy in various countries including the Arab world. In the 1970s, this unit was founded by Israeli intelligence officer Mike Harry. Caesaria collects surveillance and information on current and future targets throughout the Middle East including the Arab world. In this unit, there is a kidney named again. A team of professional killers of any kind of killings and destruction, kidneys. These people are usually taken from among the members of the Israeli army and the Special Forces. Palestinian scientist Fadi assassins said possible kidnappers. The work of the Kayesariya unit is much like the CIA's Special Activities Center (SAC) of US intelligence agency. There is also a unit named Special Operation Group (SOG) among the SSC who carried out the killings. CIA's SOG and Mosaad Kidon are similar units. Ronen Bergman wrote that until the second intifada, Israel had killed at least 500 killings, at least one thousand targets and others were killed.  And during the second intifada, they carried out more than one thousand operations, of which 168 were successful. The organization has carried out more than 800 attacks against Hamas leaders. However, the agency can kill Mossad's target, not just Palestinians, but also Syria, Lebanon, Iran and even any European citizen. The group can kill anyone who is against the interests of Israel or the Zionists.

How terrible Mossad runs the Killing mission!

ভয়ঙ্কর মোসাদ যেভাবে কিলিং মিশন চালায়!
মোসাদ। ইসরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ১৯৪৯ সালে গঠিত এ সংস্থাটির সদর দপ্তর তেলাবিবে। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ন মোসাদের প্রতিষ্ঠাতা।

ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় বিশ্ব জুড়ে নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিশ্বের এ দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাটি। সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে ফিলিস্তিনি জ্বালানি বিজ্ঞানী ফাদি আল বাতশ নিহত হওয়ার ঘটনায় আবারো আলোচনায় মোসাদ।

গত শনিবার মসজিদে ফজরের নামাজে যাওয়ার পথে ৩৫ বছর বয়সী ফাদিকে হত্যা করে দুই মোটরসাইকেল আরোহী। ফাদির পরিবার মনে করে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে মোসাদ। বলা হচ্ছে, এটি মোসাদের একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

গাজা থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর মালয়েশিয়ায় পিএইচডি করছিলেন ফাদি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে জ্বালানি বিষয়ে তার একাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

 পাশাপাশি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথেও যুক্ত ছিলেন এই বিজ্ঞানী। ইসরাইলি অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোনেন বার্গম্যানের মতে ফাদির হত্যাকাণ্ড মোসাদের হত্যাকাণ্ডের ধরনের সাথে মিল রয়েছে।

মোসাদের এমন হত্যাকাণ্ড নতুন নয়। সাধারণত কোনো ব্যক্তিকে ইসরাইল রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করলে তাকে হত্যা করে মোসাদ। এজন্য তাদের কৌশল ও দক্ষতা অত্যন্ত দুর্ধর্ষ। রয়েছে পেশাদার খুনিদের একটি দুর্ধর্ষ বাহিনী।

১. টার্গেট নির্ধারণ
হত্যাকাণ্ডের জন্য টার্গেট নির্ধারণে ইসরাইলি গোয়েন্দারা মোসাদের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়। কখনো কখনো দেশটির অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতারাও যুক্ত থাকে এর সাথে।

কখনো টার্গেট চিহ্নিত করে ইসরাইলের অন্য অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা সামরিক বাহিনী। যেমন বিজ্ঞানী ফাদিকে শত্রু হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি হামাসের ওপর নজরদারি করে ইসরাইলের এমন গোয়েন্দা সংস্থা বা সামরিক বাহিনী করতে পারে। আবার দেশের বাইরে কাজ করা ইসরাইলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কও তার বিষয়ে কাজ করতে পারে।

 বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গাজা, ইস্তাম্বুল ও বৈরুতের মধ্যে হামাসের যে যোগাযোগ চ্যানেল তার ওপর কঠোর নজরদারি করে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এই চ্যানেলের মাধ্যমেই ইসরাইল বিজ্ঞানী ফাদিকে টার্গেট হিসেবে শনাক্ত করেছিল বলে মনে করা হয়। ফাদির বন্ধুরা জানিয়েছেন, হামাসের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি গোপন করতেন না।

২. যেভাবে ঘটে হত্যাকাণ্ড
কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করার পর মোসাদ তাকে হত্যা করা হবে কি না সে ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে। ওই ব্যক্তির বেঁচে থাকা ইসরাইলের জন্য সমস্যা হবে সেটি মনে করলে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর মোসাদের বিশেষজ্ঞ দল ওই ব্যক্তির ফাইলটি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিভাবক সংস্থা ‘ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস কমিটি’র প্রধানের কাছে পাঠানো হয়। হিব্রু ভাষায় ভারাশ নামে পরিচিত এই সংস্থাটি। এ বিষয়ে আলোচনা করে নিজেদের মতামত ও পরামর্শ দেয় ভারাশ। তবে এই অপারেশন অনুমোদনের ক্ষমতা নেই তাদের। এই ক্ষমতা রয়েছে শুধু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ দুই-একজনের সাথে পরামর্শ করেন। অনুমোদনের পর বিষয়টি আবার মোসাদের কাছে যায় পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির জন্য। কখনো কখনো এতে এক সপ্তাহ থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগে। বিষয়টি নির্ভর করে টার্গেটের অবস্থান ও তার নিরাপত্তার ওপর।

৩. দুর্ধর্ষ কায়সারিয়া ইউনিট
মোসাদের অত্যন্ত গোপন একটি বাহিনী কায়সারিয়া ইউনিট। আরব বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশে গুপ্তচর মোতায়েন করা তাদের কাজ। ১৯৭০-এর দশকে এই ইউনিটটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাইক হারারি।

আরব বিশ্বসহ মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ টার্গেটের ওপর নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করে কায়সারিয়া। এই ইউনিটের মধ্যে আবার রয়েছে কিডন নামে একটি বাহিনী। যেকোনো ধরনের হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞে পারদর্শী পেশাদার খুনিদের একটি দল কিডন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও স্পেশাল ফোর্সের সদস্যদের মধ্য থেকে সাধারণত এই লোকদের নেয়া হয়। ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানী ফাদির হত্যাকারীরা সম্ভাব্য কিডন সদস্য বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। কায়সারিয়া ইউনিটের কাজ অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর স্পেশাল এক্টিভিটিস সেন্টারের (এসএসি) মতো। এসএসির মধ্যে আবার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) নামে একটি ইউনিট রয়েছে যারা হত্যাকাণ্ড চালায়। সিআইএর এসওজি আর মোসাদের কিডন একই ধরনের ইউনিট।

রোনেন বার্গম্যান লিখেছেন, দ্বিতীয় ইন্তিফাদার আগ পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৫০০ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে যাতে নিহত হয়েছে অন্তত এক হাজার টার্গেট ও অন্যরা।

 আর দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় তারা এক হাজারের বেশি অপারেশন চালিয়েছে যার মধ্যে ১৬৮টি সফল হয়েছে। সব মিলে সেই থেকে হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে সংস্থাটি ৮০০টির বেশি হামলা চালিয়েছে। 

তবে মোসাদের টার্গেট যে শুধু ফিলিস্তিনিরা তা নয়, সিরিয়া, লেবানন, ইরান এমনকি ইউরোপের কোনো নাগরিককেও হত্যা করতে পারে সংস্থাটি। মোট কথা ইসরাইল বা ইহুদিবাদীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে রয়েছে এমন যে কাউকে হত্যা করতে পারে সংস্থাটি।

Post a Comment

[blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget