মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাকটেরিয়া!
মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে যেসব ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীবগুলোর বাস,বিশেষ করে অন্ত্রে--মস্তিষ্ককে পরিচালনায় সে সবের একধরনের অদৃশ্য হাত রয়েছে।
বিজ্ঞান এখনো জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যে, কীভাবে আমাদের ভেতরে এতসব কোটি কোটি অণুজীব বাস করছে এবং সেই সাথে কিভাবে তারা শারীরিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে।
তবে হতাশা, অটিজম এবং মস্তিষ্কের কোষ নিউরনকে বিকল করে দেয় এমন সব রোগের জন্যে এ ধরনের জীবাণুর একধরনের যোগসূত্র মিলে যায়।
গবেষকেরা মনে করছেন, তারা এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে জেনেছেন যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলোকে তারা বলছেন 'মুড মাইক্রোবস' বা 'সাইকোবায়োটিকস'।
জাপানের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালানো হয়। যে ইঁদুরগুলো কখনোই কোনও ধরনের জীবাণুর সংস্পর্শে আসেনি সেগুলো সাধারণ ইঁদুরের চাইতে বেশি পরিমাণ স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে যখন তারা কোনও সমস্যায় পড়ে। এটিকে চিন্তার ক্ষেত্রে অণুজীবের অস্তিত্ব বা প্রভাবের বড় একটি ইঙ্গিত বলে ধরে নেয়া হয়।
বলা হয় যে একটি উপায় হলো আমাদের ভেগাস স্নায়ু। যা তথ্য বহনকারী একটি সুপার হাইওয়ের মতো কাজ করে, যোগসূত্র ঘটায় অন্ত্রের সাথে মস্তিষ্কের।
ব্যাকটেরিয়া হজমের সময়ে আঁশ জাতীয় খাদ্যকে ভেঙ্গে তার একধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়। শর্ট চেইন ফ্যাটি এসিড উৎপাদিত হয়, যা কিনা শরীরের চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
অভ্যন্তরে বাস করা সবধরনের অণুজীবকে বলা হয়ে থাকে 'মাইক্রোবায়োম'। গবেষকরা অন্ত্রের 'মাইক্রোবায়োম'-এর সাথে পারকিনসন্স রোগীর মস্তিষ্কের একধরনের যোগসূত্র দেখেছেন।
যদিও পারকিনসন্স স্পষ্টভাবেই একধরনের স্নায়বিক বৈকল্য।যার কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, ফলে পেশীগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
কিন্তু ক্যালটেকের মেডিকেল মাইক্রো বায়োলজিস্ট প্রফেসর সার্কিস ম্যাজমানিয়ান দেখিয়েছেন যে, এখানে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াও একভাবে জড়িত।
তিনি তার গবেষণায় 'মাইক্রোবায়োম'-এর খুব সুনির্দিষ্ট পার্থক্য পেয়েছেন পারকিনসন্স রোগী এবং সুস্থ ব্যক্তির মাঝে।আর এ ধরনের গবেষণাই ইঙ্গিত দিচ্ছে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কিংবা 'মাইক্রোবায়োম'-এর পরিবর্তন ঘটিয়ে স্নায়বিক বা মস্তিষ্কের রোগের চিকিৎসায়।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ড. ক্রিস্টিন টিলিশ মনে করেন এ সম্ভাবনা নিয়ে আরো অনেক বেশি গবেষণার প্রয়োজন।
যাতে করে অণুজীবের নিয়ন্ত্রণ ঘটিয়ে সত্যিই মানসিক স্বাস্থ্যেরও একধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়। সূত্র: বিবিসি বাংলা
Mood Control Bacteria!
All of the bacteria or microbes inside the human body, especially in the gut-powered brain, they all have an invisible hand.
Science is still trying to understand how we live in these billions of microbes, and how they affect the physical condition.
However, a combination of such germs is associated with frustration, autism, and brain disorders that neutralize cell neurons.
Researchers believe they have learned about some bacteria that can be used to improve mental health. They are saying 'Mood Microbes' or 'Psychobiotic'.
Research on a group of mice in Kyushu University of Japan was conducted. The rats that have never been exposed to any kind of microbes emanate more than normal mice while they are in trouble. It is believed to be a major indicator of the existence or effect of microbes in thought.
It is said that one way is our vein nerve. Which acts like a super-highway, which causes the brain to interact with the intestines.
During bacterial digestion, fibers break the food and make some chemical reactions. Short-chain fatty acids are produced, which can affect the body's thinking.
All micro-organisms living in the interior are called 'microbials'. Researchers found a link between the intravenous 'microbiom' and the perkinous brain's brain.
Although Parkinson's is clearly a type of nervous impairment, due to which brain cells are damaged, muscles lose their control.
But Caltech's medical micro biologist Professor Circus Magmanian showed that intestinal bacteria are also involved in the same way.
In his study, he found a very precise difference between 'Parkinson's' and microbialism. And such research suggests that changes in the intestinal bacteria or 'microbiom', in the treatment of neurological or brain disorders,
University of California Dr. Christine Teichel thinks the need for much more research on this possibility.
So that by controlling microorganisms, there is really a positive change in mental health. Source: BBC Bangla
মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাকটেরিয়া!
মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে যেসব ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীবগুলোর বাস,বিশেষ করে অন্ত্রে--মস্তিষ্ককে পরিচালনায় সে সবের একধরনের অদৃশ্য হাত রয়েছে।
বিজ্ঞান এখনো জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যে, কীভাবে আমাদের ভেতরে এতসব কোটি কোটি অণুজীব বাস করছে এবং সেই সাথে কিভাবে তারা শারীরিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে।
তবে হতাশা, অটিজম এবং মস্তিষ্কের কোষ নিউরনকে বিকল করে দেয় এমন সব রোগের জন্যে এ ধরনের জীবাণুর একধরনের যোগসূত্র মিলে যায়।
গবেষকেরা মনে করছেন, তারা এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে জেনেছেন যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলোকে তারা বলছেন 'মুড মাইক্রোবস' বা 'সাইকোবায়োটিকস'।
জাপানের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালানো হয়। যে ইঁদুরগুলো কখনোই কোনও ধরনের জীবাণুর সংস্পর্শে আসেনি সেগুলো সাধারণ ইঁদুরের চাইতে বেশি পরিমাণ স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে যখন তারা কোনও সমস্যায় পড়ে। এটিকে চিন্তার ক্ষেত্রে অণুজীবের অস্তিত্ব বা প্রভাবের বড় একটি ইঙ্গিত বলে ধরে নেয়া হয়।
বলা হয় যে একটি উপায় হলো আমাদের ভেগাস স্নায়ু। যা তথ্য বহনকারী একটি সুপার হাইওয়ের মতো কাজ করে, যোগসূত্র ঘটায় অন্ত্রের সাথে মস্তিষ্কের।
ব্যাকটেরিয়া হজমের সময়ে আঁশ জাতীয় খাদ্যকে ভেঙ্গে তার একধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়। শর্ট চেইন ফ্যাটি এসিড উৎপাদিত হয়, যা কিনা শরীরের চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
অভ্যন্তরে বাস করা সবধরনের অণুজীবকে বলা হয়ে থাকে 'মাইক্রোবায়োম'। গবেষকরা অন্ত্রের 'মাইক্রোবায়োম'-এর সাথে পারকিনসন্স রোগীর মস্তিষ্কের একধরনের যোগসূত্র দেখেছেন।
যদিও পারকিনসন্স স্পষ্টভাবেই একধরনের স্নায়বিক বৈকল্য।যার কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, ফলে পেশীগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
কিন্তু ক্যালটেকের মেডিকেল মাইক্রো বায়োলজিস্ট প্রফেসর সার্কিস ম্যাজমানিয়ান দেখিয়েছেন যে, এখানে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াও একভাবে জড়িত।
তিনি তার গবেষণায় 'মাইক্রোবায়োম'-এর খুব সুনির্দিষ্ট পার্থক্য পেয়েছেন পারকিনসন্স রোগী এবং সুস্থ ব্যক্তির মাঝে।আর এ ধরনের গবেষণাই ইঙ্গিত দিচ্ছে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কিংবা 'মাইক্রোবায়োম'-এর পরিবর্তন ঘটিয়ে স্নায়বিক বা মস্তিষ্কের রোগের চিকিৎসায়।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ড. ক্রিস্টিন টিলিশ মনে করেন এ সম্ভাবনা নিয়ে আরো অনেক বেশি গবেষণার প্রয়োজন।
যাতে করে অণুজীবের নিয়ন্ত্রণ ঘটিয়ে সত্যিই মানসিক স্বাস্থ্যেরও একধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়। সূত্র: বিবিসি বাংলা
Post a Comment