যে কারণে ৬ ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে!

যে কারণে ৬ ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৬ ক্রিকেটারের মধ্যে বাদ পড়েছেন ৬ জন। মানে একাদশ গড়ার জন্য যে ১১ জন ক্রিকেটার থাকেন সেই সংখ্যাও নেই। ১৬ থেকে এক লাফে সংখ্যাটি এখন ১০। অবশ্য এর সঙ্গে যোগ হবেন আরও তিন তরুণ খেলোয়াড়। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন মোট ১৩ ক্রিকেটার। কিন্তু একই সঙ্গে ৬ ক্রিকেটারের বাদ পড়া নিয়ে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই এর ফলে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হবে ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এদিকে, আপাতত বেতন বাড়ানো হচ্ছে না ক্রিকেটারদের। গতকালের সভায় আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিপিএলের নতুন সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম চূড়ান্ত করেছে পরিচালনা পর্ষদ। চলতি মাসেই মাশরাফি, সাকিবদের হেড কোচের নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। কয়েক দিন ধরেই ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তির বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা কত হবে, বেতন বাড়বে কিনা— এসব নিয়ে ক্রিকেটাররাও চিন্তিত ছিলেন। তাদের দাবি ছিল বেতন বাড়ানোর। কিন্তু বিসিবি সে পথে হাঁটেনি। উল্টো চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা ১৬ থেকে কমিয়ে ১০ করেছে। এর কারণ হিসেবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্স ও নির্বাচক প্যানেলের পরামর্শেই এমনটা করা হয়েছে। বিচার করা হয়েছে পারফরম্যান্স।’ একই কথা বলেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, মূলত গত বছরে এই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হওয়ার কারণেই তাদেরকে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে থাকা ১০ ক্রিকেটার— মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, মুমিনুল হক সৌরভ ও তাইজুল ইসলাম। বাদ পড়া ছয় ক্রিকেটার সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদ, ইমরুল কায়েস, কামরুল ইসলাম রাব্বি, সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এর মধ্যে সাব্বির রহমানের বাদ পড়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। কেননা সম্প্রতি নিদাহাস ট্রফিতে তিনি ফর্মের ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। তারপরও কেন তাকে বাদ দেওয়া হলো। তবে যতটুকু খবর, সাব্বির ফর্মের কারণে বাদ পড়েননি। অখেলোয়াড়সূচক কারণে তিনি বাদ পড়েছেন। অন্যদিকে, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদ আর কামরুল ইসলাম রাব্বি একাদশে নিয়মিত ছিলেন। এর মধ্যে কামরুল ইসলাম রাব্বি তো গত বছরের প্রায় পুরোটা সময়ই দলের বাইরে। এদিকে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুাযায়ী বিপিএল আয়োজনের তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বিপিএল আয়োজনের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। তবে ১ অক্টোবর থেকে শুরুর জোর চেষ্টা চালাবে জানান বিসিবি সভাপতি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ভেন্যু চূড়ান্ত না হলেও আসামের দেরাদুনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সিরিজে বাংলাদেশ চাইছে ৩টি ম্যাচ খেলতে, আফগানিস্তানের আগ্রহ চার ম্যাচ। এক মাসের মধ্যে আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাদের কার্যক্রম শুরু করবে বলে বিশ্বাস বিসিবি সভাপতির। এই মাসের মধ্যে জাতীয় দলের হেড কোচ চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। Mashrafe Bin Mortaza, Shakib Al Hasan, Mushfiqur Rahim, Tamim Iqbal, Mahmudullah Riyadh, Rubel Hossain, Mehdi Hasan Miraj, Mustafizur Rahman, Mominul Haque Sourav and Taijul Islam. The six players dropped are Sabbir Rahman, Taskin Ahmed, Imrul Kayes, Kamrul Islam Rabbi, Soumya Sarkar and Mosaddek Hossain Saikat

Mashrafe Bin Mortaza, Shakib Al Hasan, Mushfiqur Rahim, Tamim Iqbal, Mahmudullah Riyadh, Rubel Hossain, Mehdi Hasan Miraj, Mustafizur Rahman, Mominul Haque Sourav and Taijul Islam. The six players dropped are Sabbir Rahman, Taskin Ahmed, Imrul Kayes, Kamrul Islam Rabbi, Soumya Sarkar and Mosaddek Hossain Saikat

যে কারণে ৬ ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে!

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৬ ক্রিকেটারের মধ্যে বাদ পড়েছেন ৬ জন। মানে একাদশ গড়ার জন্য যে ১১ জন ক্রিকেটার থাকেন সেই সংখ্যাও নেই।

 ১৬ থেকে এক লাফে সংখ্যাটি এখন ১০। অবশ্য এর সঙ্গে যোগ হবেন আরও তিন তরুণ খেলোয়াড়। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন মোট ১৩ ক্রিকেটার।

 কিন্তু একই সঙ্গে ৬ ক্রিকেটারের বাদ পড়া নিয়ে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই এর ফলে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হবে ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। 

এদিকে, আপাতত বেতন বাড়ানো হচ্ছে না ক্রিকেটারদের। গতকালের সভায় আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিপিএলের নতুন সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম চূড়ান্ত করেছে পরিচালনা পর্ষদ।

 চলতি মাসেই মাশরাফি, সাকিবদের হেড কোচের নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

কয়েক দিন ধরেই ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তির বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা কত হবে, বেতন বাড়বে কিনা— এসব নিয়ে ক্রিকেটাররাও চিন্তিত ছিলেন।

 তাদের দাবি ছিল বেতন বাড়ানোর। কিন্তু বিসিবি সে পথে হাঁটেনি। উল্টো চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা ১৬ থেকে কমিয়ে ১০ করেছে।

এর কারণ হিসেবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্স ও নির্বাচক প্যানেলের পরামর্শেই এমনটা করা হয়েছে। বিচার করা হয়েছে পারফরম্যান্স।’

একই কথা বলেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, মূলত গত বছরে এই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হওয়ার কারণেই তাদেরকে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

চুক্তিতে থাকা ১০ ক্রিকেটার— মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, মুমিনুল হক সৌরভ ও তাইজুল ইসলাম।

বাদ পড়া ছয় ক্রিকেটার সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদ, ইমরুল কায়েস, কামরুল ইসলাম রাব্বি, সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

এর মধ্যে সাব্বির রহমানের বাদ পড়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। কেননা সম্প্রতি নিদাহাস ট্রফিতে তিনি ফর্মের ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। তারপরও কেন তাকে বাদ দেওয়া হলো।

তবে যতটুকু খবর, সাব্বির ফর্মের কারণে বাদ পড়েননি। অখেলোয়াড়সূচক কারণে তিনি বাদ পড়েছেন। অন্যদিকে, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদ আর কামরুল ইসলাম রাব্বি একাদশে নিয়মিত ছিলেন। এর মধ্যে কামরুল ইসলাম রাব্বি তো গত বছরের প্রায় পুরোটা সময়ই দলের বাইরে।

এদিকে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুাযায়ী বিপিএল আয়োজনের তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বিপিএল আয়োজনের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। তবে ১ অক্টোবর থেকে শুরুর জোর চেষ্টা চালাবে জানান বিসিবি সভাপতি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

ভেন্যু চূড়ান্ত না হলেও আসামের দেরাদুনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সিরিজে বাংলাদেশ চাইছে ৩টি ম্যাচ খেলতে, আফগানিস্তানের আগ্রহ চার ম্যাচ।

 এক মাসের মধ্যে আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাদের কার্যক্রম শুরু করবে বলে বিশ্বাস বিসিবি সভাপতির। এই মাসের মধ্যে জাতীয় দলের হেড কোচ চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Post a Comment

[blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget