তাহলে কি ২৩ এপ্রিলই ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবী!
তাহলে কি ২৩ এপ্রিলই ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবী!
নিবিড়ু বা ডেথ প্লানেট। বলা হচ্ছে সৌরজগতের দ্বাদশ গ্রহ এটি। আর আগামী ২৩ এপ্রিলই নাকি এর অস্তিত্ব দেখা যাবে পৃথিবীর আকাশে।
আর নিবিড়ুর সংস্পর্শে ওই দিনই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী! ডেথ প্লানেট সম্পর্কে এমন ভবিষ্যত বাণীই দিয়েছেন 'কনস্পাইরেসি থিওরিস্টস বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদরা'।
এখন প্রশ্ন হল তবে কি ২৩ এপ্রিলই মানবজাতির শেষ দিন? এক কথায় যদি এর উত্তর বলি তাহলে হচ্ছে 'না'। এমন কোন ঘটনা যে ওইদিন ঘটবে না। কারণ, এমন দাবি এখন অার নতুন নয়।
মাঝে মাঝেই এমন অবিশ্বাস্য ও আজগুবি দাবি করে থাকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদরা। এমনকি ২০১৭ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দুই বার পৃথিবী ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’-এ বিশ্বাসীরা।
বিষয়টি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এখন এমন কথা বললে মানুষ টাট্টা করে। তবু থেমে নেই ভবিষ্যদ্বাণী।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেথ প্ল্যানেট তথা নিবিড়ু গ্রহের আবির্ভাবের সঙ্গেই অন্তিমকাল ঘনিয়ে আসবে পৃথিবীর। এমন বক্তব্যের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসলে নিবিড়ুর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
কিন্তু নিবিড়ুর আবির্ভাব নিয়ে বার বার সরব হয়েছে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’-এর প্রবক্তারা। এই তত্ত্বের বিশ্বাসীদের ধারণা, রাষ্ট্র বা কখনও কখনও কোনও ক্ষমতাশালী গোষ্ঠী অনেক সময়ে বিভিন্ন ঘটনাকে চেপে দিতে এসব পন্থা অবলম্বন করে।
তাদের ধারণা, নাসা বা অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবেই নিবিড়ুর অস্তিত্বকে ‘অলীক’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। নিবিড়ু মোটেই কাল্পনিক নয়। সে এই সৌরজগতেই আছে।
নিবিড়ু গ্রহ ও মায়া সভ্যতার এক বিশেষজ্ঞ জেমস ম্যাককেনির মতে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল সভ্যতা। কারণ নিবিড়ু খুব কাছে চলে এসেছিল পৃথিবীর।
২৩ এপ্রিল পৃথিবীর ধ্বংসের সঙ্গে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিশ্বাসীরা এবার মিলিয়ে দিয়েছেন যিশু খ্রিস্টকেও। বলা হচ্ছে, ওইদিন সূর্ষ, চাঁদ ও শুক্র এক সরলরেখায় আসবে। বাইবেল বর্ণিত ‘র্যাপচার’ অর্থাৎ যিশুর প্রত্যাবর্তনকেও জড়িয়ে ফেলা হয়েছে তাদের বক্তব্যে।
Post a Comment